Ticker

6/recent/ticker-posts

খুব বৃষ্টি আর উজানের ঢল অব্যাহত থাকায় চন্দবাইশা যমুনা নদীর পানি বিপদ সিমায় বেড়েই চলছে.....

গত কয়েক দিন ধরে অবিরাম ভারি বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানিতে বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত যমুনা নদীর পানি ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।

গত ৪৮ ঘন্টায় যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বিপদ সীমার ২০সে.মি উপর দিয়ে। হঠাৎ করে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়া এবং পানির তীব্রস্রোতের কারণে উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে শতাধিক গ্রাম এবং অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হুমকির মুখে রয়েছে।

পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় উপজেলার কুতুবপুর, কাজলা, কর্ণিবাড়ি, বোহাইল, চালুয়াবাড়ি, চন্দনবাইশা, হাটশেরপুর, সারিয়াকান্দি সদর, কামালপুর ইউনিয়নের চরাঞ্চল ও যমুনার তীরবর্তী এলাকা বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে অর্ধশত নিচু চর। ক্ষয়ক্ষতির সঠিক পরিমাণ জানা না গেলেও অনেক সবজি বাগান, পাট এবং মসলাজাতীয় ফসলের জমি তলিয়ে গেছে। উপযুক্ত হওয়ার আগেই পাট কাটতে বাধ্য হচ্ছে কৃষক। সেই সাথে তলিয়ে গেছে কৃষকের বীজতলা।

শনিবার সকালে উপজেলার বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শন করেছেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট (এডিএম) আলিমুন রাজিব, ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিদ্ধার্থ ভৌমিক, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সারওয়ার আলম সহ অনেকে।



ইতোমদ্ধে উপজেলা প্রশাসন বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রস্ততি সভা করে বিভিন্ন রকম প্রস্ততি নিয়েছেন বলে জনিয়েছেন একটি সূত্র। রবিবার সারিয়াকান্দিতে বন্যা কবলিত মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করবেন বগুড়া-১ আসনের সংসদ সদস্য কৃষিবিদ আব্দুল মান্নান।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, শনিবার দুপুরে যমুনা নদীর পানিবৃদ্ধি পেয়ে বিপদ সীমার ১৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ইতিমদ্ধেবন্যা পরিস্থিতি মনিটরিং এবং বিভিন্ন বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাধ সমুহ নজর দারিতেরাখা হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) সিদ্ধার্থ ভোমিক জানান, বন্যাপরিস্থিতি মোকাবেলা করার জন্য কন্টোল রুম খোলা হয়েছে। বন্যায় আক্রান্ত লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে শুকনো খাবার, চাল ডাল বিতরণ করা হবে।



চালুয়াবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শওকত আলী জানান, বন্যার পানিতেচালুয়াবাড়ি ইউনিয়নের সুজলের পাড়া, উত্তর হাটবাড়ি, বহুলাডাঙ্গা, উত্তর শিমুল তাইড়, ভাঙ্গরগাছা, বিরামের পাঁচগাছী গ্রাম এবং কাজলা ইউনিয়নের উত্তরও দক্ষিণ বেনীপুর, বেড়া পাচবাড়িয়া, পাকুড়িয়া সহ অনেক গ্রাম রয়েছে হুমকিরমুখে। কাজলা ইউনিয়নের একটি সড়ক ভেংগে বন্যার পানি প্রবেশ করছে টেংরাকুড়া গ্রামে। এদিকে অতিবৃষ্টির কারনে বাংগালি নদির পানিও বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাদিত হচ্ছে। ফলে কুতুবপুর ইউনিয়নের বড় কুতুবপুর, কাজলা ও শোলারতাইড়, গ্রামের জমির ফসল তলিয়ে গেছে। কাজ না থাকায় নিম্নবৃত্ত পরিবারগুলি অসহায় দিনানিপাত করছে।

Post a Comment

0 Comments