কর্মঃ
কর্মের অনেক প্রকার ভেদ আছে, সব বর্ণনা করা সম্ভব নয়। তবুও আমি বুঝানোর জন্য কর্মকে তিন ভাগে ভাগ
করে নিলাম।
(১) সু কর্ম
(২) কু কর্ম
(৩) সমাজ কর্ম
--- আমরা জন্মের পর হতে কিছুকাল বাবা মায়ের কোলে বসে খাই, যাকে বলে বাবার হোটেল।
এই বাবার হোটেল হলো মানুষের চরিত্র গঠনের উপযুক্ত সময় ও সুযোগ। বাবার কাঁধে বন্দুক রেখে
আমরা পাখি শিকার করি, বন্দুকের ঝাঁকিটা বাবার বুকে এসেই লাগে। আমরা তো শুধু শিকারকে ফলো করি। এই শিকারের লক্ষ টা যদি আমরা ভালো ভাবে করতে পারি, তাহলে শিকার অতি সহজেই হাতের নাগালে চলে আসে, আর যদি আমরা লক্ষটা কে ভুল ভাবে তাক করি তাহলে শিকারটা তো হাতের নাগালে
আসবেই না বরং ভুল তাক করার কারণে জীবনের লক্ষটা বদলিয়ে যাবে। অতএবঃ বাবার হোটেলটাই
চরিত্র গঠনের উপযুক্ত সময়। বাবার হোটেলে আমাদের চরিত্রটা যে ভাবে গড়ে তুলবো পরবর্তী সময়ে বাবার হোটেল হতে বের হয়ে যখন নিজের কাঁধে জোয়াল উঠাবো তখন বাবার হোটেলে থেকে যে শিক্ষা টুকু অর্জন করতে পেরিছিলাম সেই শিক্ষাটাকে কাজে লাগিয়ে আমরা আমাদের জীবন চলার পথে সুন্দর একটা পথ তৈরী করতে পারবো। আর এই সুন্দর পথ চলার ভিতর দিয়ে আমরা যে কর্ম গুলো করবো তাকেই বলা হয় সু কর্মঃ----
-
কু কর্মঃ--
আমরা বাবার হোটেলে অবাদে চলাফেরা করে বাবা মা বড় ভাই বোনদের কথা সঠিক ভাবে না মেনে নিজের ইচ্ছা মতো মনের মতো শিকারের আশায় যে ভুল ভাবে
তাক করেছিলাম এবং সেই ভুল তাক করা তীরটা যখন
অন্য কারো মেয়ে বোন বা অন্য কারো সম্পদের উপরে
গিয়ে আঘাত হেনেছিলো এবং সেই আঘাতের খেসারত
সামলিয়ে নিতে মা বাবা ভাই বোনদের মানসিক ক্ষতি ও আর্থিক ক্ষতি হয়েছিলো, সেই শিক্ষাকে বলা হয় কুশিক্ষা,আর এই কু শিক্ষা বুকে ধারণ করে পরবর্তীতে
সংসার জীবনে যে কাজ গুলো করা হয় তাকে বলে
কু কর্ম।
সমাজ কর্মঃ
--- সমাজ কর্ম হলো আমরা যখন নিজেকে একজন
পরিপূর্ন মানুষ ভাবতে শিখি, পরিপূর্ন মানে যখন আমাদের দিলে সকল প্রকার জ্ঞান আসে, অর্থাৎ ভালো মন্দ, ভুল শুদ্ধ ন্যায় অন্যায় সকল কিছুই অনুভব করতে শিখি এবং সেই অনুপাতে মানুষের কল্যাণে সমাজের কল্যাণে ও রাষ্ট্রের কল্যাণে কোনো কাজ করি তখন সেই কাজ কে আমরা সমাজ কর্ম হিসাবে ধরে নিতে পারি।
প্রিয় পাঠকঃ
আমি কর্মকে তিনটি ভাগে ভাগ করে ছিলোম, এবং সে গুলোর বর্ণনা পেশ করলাম জানিনা আমি সঠিক ভাবে
আপনাদেরকে বুঝাতে পেরেছি কিনা?
--- এখন আমি আমার আলোচনায় ফিরে আসলাম।
সত্যিকারের একজন মানুষ হতে হলে তার নিকট তিনটি
কর্মের নমুনা থাকতে হবে, নচেৎ আমরা পুরোপরি মানুষ হতে পারবোনা।
এই ক্ষনিকের পৃথিবীতে আমরা সবাই মুসাফির।
এখানে একটি বিষয় গভীর ভাবে ভাবার থাকে, সেটি হলো, আল্লাহ আমাদেরকে দুনিয়াতে এক সাথে সবাইকে প্রেরন করেনি। তিঁনি যে সিরিয়ালে দুনিয়াতে পাঠান আবার সেই সিরিয়ালেই দুনিয়া হতে তুলে নিয়ে যান, কিন্তু এখানে একটু ব্যতিক্রম তিঁনি রেখেছেন।
সেটি হলো, তিঁনি দুনিয়াতে সিরিয়ালে পাঠান কিন্তু দুনিয়া হতে তুলে নেয়ার সময় কতক ক্ষেত্রে একটু ব্যতিক্রম করেন। যেমনঃ বড় ভাই আগে এসেছে তাকে আগে যাওয়ার কথা, কিন্তু তা না হয়ে দেখা যায় ছোট ভাই আগে দুনিয়া হতে চলে গেলেন। আল্লাহ তায়ালা
এটা কেনো করলেন? এর কারণ হলো তিঁনি মহা ক্ষমতাশালী তা মানুষ কে বুঝানোর জন্য, তা না হলে
মানুষ এটা কে নিয়ে মহা গন্ডগোল করতো। ছোট ভাই বলতো, আমি যাবো না, বড় ভাই আগে এসেছে, তাকে আগে যেতে হবে। যাতে এই সমস্যা না হয়, সে কারণে আল্লাহ তায়ালা মানুষের শেষ বিদায়ের তারিখটা গোপন রাখেন।
--- এখন কথা হলো, আমরা কোন কর্ম করবো?
উপরে উল্লেখিত কর্মের ভিতরে?
-- আমি বলতেছি চাচ্ছিনা আমি ভালো কর্ম করতেছি
আর আপনার খারাপ কর্ম করতেছেন।
আমি আমার গল্পটাকে আপনাদের সামনে উদাহরণ হিসাবে উপস্থাপন করতেছি এটাই মাত্র।
যে, তিনটি কর্মের কথা উল্লেখ্য করা হয়েছে, তার ভিতরে সমাজ কর্মটা হলো উত্তম কর্মঃ কারণ সমাজ
আপনাকে আপনার কাজের দ্বারা মূল্যায়ন করবে।
অর্থ টাকা পয়সা হিরা জহরত দিয়ে সমাজে একজন
ভালো মানুষ হিসাবে নিজেকে প্রমাণ করা যায়না।
তাকে ভালো মানুষ হতে হলে সমাজের মানুষদের নিকট তার ভালো মানুষের একটা সার্টিফিকেট থাকতে হয়।
-- আপনি আজ চলে গেলেন, কিন্তু সমাজে আপনি কি রেখে গেলেন? আজ আপনাকে নিয়ে সমাজের লোকেরা কিছুই বলতে পারতেছেনা। না আপনার দোষ,না আপনার গুন, না আপনার সমাজে রেখে যাওয়া কোনো সু কর্ম?
যে চরিত্র কে নিয়ে সমাজে গর্ব করা যায়না, সেই চরিত্র গঠনে আপনার কি কাজে আসলো? জীবনের শেষ ক্ষন টাও আপনি প্রশ্ন বিদ্ধ করে রেখে গেলেন।
-- আপনার জীবন কে নতুন করে সাজানোর আপনি
অনেক সময় ও সুযোগ পেয়েছিলেন, কিন্তু আপনি কি করলেন? কি রেখে গেলেন?
সমাজ এমন একটা জায়গা, এই সমাজ কখনো মানুষের ক্ষতি কামনা করেনা, সমাজ মানুষকে সঠিক পথে ফিরে আসার জন্য অনেক সুযোগ দেয়, সমাজ আপনাকে সহ যোগিতা করে।
--- কথা গুলো লিখতে আমার অনেক কষ্ট হচ্ছে, তবুও লিখতেছি, কারণ আমার লেখা পড়ে যদি সমাজের একটি লোক ও তার চরিত্রকে সংশোধন করতে পারে বা করেন, তাহলে হয়তো আমার লেখার বদৌলতে
মহান আল্লাহ তায়ালা আমাকে কিছু যাযা দিতে পারেন।
------ মহান আল্লাহ তায়ালা আপনার যাবতিয়া গুনাহ্ কে ক্ষমা করে দিয়ে আপনাকে জান্নাত দান করুন।
--- প্রিয় পাঠকঃ
আপনারা আমাকে এই পোস্ট নিয়ে কোনো প্রকার প্রশ্ন করবেন না। যদি এখান হতে আপনাদের কোনো কিছু
শেখার বা জানার বা আমল করার থাকে, আপনারা সেটিই করবেন। তবে কাকে নিয়ে লিখলাম? এটা জানতে চাওয়া ব্যতিত আপনারা সকল প্রকার মতামত
পেশ করতে পারেন।
-- আল্লাহ তায়ালা আমাকে সহ সকলকে যাবতিয় ভুল শিক্ষা ও কুর্মের হাত হতে ফারেক থাকার তৌফিক দান করুক#### আমিন।
0 Comments