Ticker

6/recent/ticker-posts

মন ও সম্পদ

মন ও সম্পদঃ
রচনাঃ কামাল উদ্দিন।
তাং ২৭/০৪/২০১৯ইং।

বয়স প্রায় আটচল্লিশের কোটায় চলে গেছে। এখনো
পৈত্রিক সম্পত্তির মালিক হতে পারিনি। তবে আনুষ্ঠানিক ভাবে আজ হতে পৈত্রিক সম্পদের মালিক
হলাম। ধৈর্য ও সহানুভতি মানুষকে কোন পথে নিয়ে
যায়? সে বিষয়ে লেখার চেষ্টা করব ইনশাল্লাহ।
বাবার পঞ্চম ছেলে আমি। ভাইদের ভিতরে পঞ্চম,
আর ভাই বোন মিলে সপ্তম। এর অর্থ হল, আমরা ছয় ভাই দুই বোন। তাই বলছিলাম পঞ্চম ছেলে।
যাই হোক মন ও সম্পদ কি এটাই আমার আলোচনার
আজকের বিষয় বস্তু।
মন বলতে বিবেগ, চরিত্র,ও সামাজিকতার কথা বলছি।
আর সম্পদ বলে জমা জমি অর্থকড়ি বুঝাতে চেয়েছি।
আমার বাবারা ছিলেন পাঁচ ভাই।
(১) আলী ফকির
(২) হামেদালি ফকির।
(৩) উমেদালী ফকির।
(৪) অহেদালী ফকির।
(৫) আজিম উদ্দিন ফকির।

আমার বাবা পঞ্চম। তাদের বোন নেই।
আমার বাবার গ্রুপটা নেই। সর্ব শেষ আমার মায়ের
মৃত্যুর মাধ্যমে এক পিড়ির সমাপ্ত হয়েছে।
এখন আমরা চাচাতো ভাই ও ভাতিজার গ্রুপ ও কিছু
ক্ষেত্রে নাতী গ্রুপে পদার্পন করেছে।
আমার বাড়ির দঃক্ষিনে আছেন
মোঃ আঃহালিম চাঁন ফকির।
পিতাঃ মরহুমঃ হামেদালী ফকির।
উত্তরে আছেন মরহুমঃ তোফাজ্বল ফকির।
পিতাঃ মরহুমঃ আলী ফকির।
পূর্বে বালিকা বিদ্যালয় ও পশ্চিমে
মরহুমঃ সুরুজ্জামান মুন্সী।
উত্তরে তোফাজ্বল ফকিরের বাড়ির সিমানা আর আমার বাড়ির সীমানা পাশা পাশি।
কাজ ক্ষেত্রে আমার বাড়ির সিমানায় বেড়া দেয়ার প্রয়োজন হয়, আর বেড়াকে কেন্দ্র করে মরহুমঃ তোফাজ্বল ফকির জীবিত থাকা কালীন কোন
সমস্যার সৃষ্টি হয়নি। কিন্তু তোফাজ্বল ফকিরের
মৃত্যুর পরে তার স্ত্রীর দ্বারা সীমানাকে কেন্দ্র করে
কিছু মনো মালিন্যের সৃষ্টি হয়। এটা দিন দিন বাড়তে
থাকে, আমি আমার সেই ভাবিকে কথা দিয়ে ছিলাম
তোমার সাথে আমার কোন দিন দ্বন্দ হবেনা।
আমার কথাটা হয়তো সে পুরোপরি বিশ্বাস করতে পারছিলনা। তাই সে তার মনের ভিতরে জমানো ক্ষোপ
গুলো ভাল ভাবে লালন পালন করতে ছিলেন।
অথচ ঐ ভাবী আমাকে এক সময় কোলে নিয়ে
মানুষ করেছিলেন, বিপদে আপদে মা কে অনেক
সময় কাজে সাহায্য করেছিলেন, বিনি ময়ে আমরা
তাকে অনেক শ্রদ্ধা করতাম বা এখনো করি।
আমরা যখন ছোট ছিলাম তখন সে আমাদের সাথে
অনেক মিলন বাঁধনে বাঁধিত ছিলো, মানে নিজের হাতে
খাবার তুলে নিয়ে খেত, এতে আমার মা বাবা কোন
দিন মন খারাপ করেননি,বরং খুশি হতেন।
সেই ভাবি আজ সম্পদের মায়া মমতায় আমাদের ছোট
বেলার মমতার কথা ভুলে গেছেন। ভুলে গেছেন চাচি
শ্বাশুড়ির আদরের কথা। কিন্তু আমি তাকে আমার মায়ের মতই দেখতাম বা আজ ও দেখি।
২০১৭ইং সালে সেই ভাবির গলা ধরে কাঁন্না কাটি
করেছি, যদিও আমাদের পরিবারের সাথে বর্তমানে
তার ভাল সম্পর্ক নেই। আমি বর্তমান সময়টার কথা ভাবিনা, ভাবি ঐ সময়ের কথা, যে সময় সে আমাকে গোসল করিয়েছে, ভাত রান্না করে খাওয়াইয়াছে।
আমার বাড়ির সিমানায় ইট দিয়ে ওয়াল করব,
এই মর্মে আমার স্ত্রী বাড়িতে গিয়াছে, বাড়ির কাজ করাবে, কিন্তু আমার ঐ ভাবি কিছুতেই ওয়াল গাঁথতে
দিবেনা, তার বক্তব্য আমার জায়গা আছে তোদের সীমানার ভিতরে, অথচ আমিন দ্বারা জায়গা মাপা
আছে, এবং সীমানায় খুঁটি পুঁতা ছিলো, সেই সীমানার
খু্টি খুজে পাওয়া যাচ্ছেনা। আমরা সীমানা দেখাইলে
সে মানতে পারেনা। এমত্যবস্থায় আমিন দ্বারা অদ্য পুনরায় জমিতে মাপ দেয়া হয়, মাপের রায়ে
আমরা বিজয় লাভ করেছি।
এবং আমার ভাবি ও ভাতিজা উভয়েই মাপকে
সমর্থন করেছে, তারা খুশি আছে।
অথচ আমরা ন্যায্য পথেই চলার জন্য জীবন রাখি।
আমার সেই ভাবি সন্তষ্ট আছে এবং ভবির্ষতে আর কোন দিন সীমানা নিয়ে কোন মন্তব্য করবে বলে
আশ্বাস প্রদান করছে।
অর্থ মানুষর বিবেগটাকে খেয়ে ফেলে।
মানুষের বিবেগটা সঠিক পথে খাটাতে হয়।

Post a Comment

0 Comments