খেয়া
--- কামাল উদ্দিন।
তারিখঃ ১৭/০৩/২০১৯ইং।
খেয়ার তরী ও পারে
বাড়ীটা অনেক দুরে,
ওরে মাঝি ভাই তরা করে আনো তরী
ডাকছে মেঘ গুঁড় গুড়ে।।
বাড়ীতে আমার অসুস্থ মা
ভীষন জ্বর তার,
আমি যে তার এক মাত্র সম্বল
গঞ্জে গেলাম ঔষুধ আনতে, তরা করে পার কর।।
হালের বলদটা হাম্বা রবে
ডাকিতেছে পথ পানে চেয়ে,
উঠানেতে বিছানো খড়
সব গেল বুঝি ধুয়ে।।
পোলার মায়ে বাড়ীতে নেই
গেছে বাপের বাড়ি,
ছোট মেয়েটা স্কুলে গেছে
পড়ে ক্লাশ থ্রী।।
ওরে মাঝি তরা আয়
এলো বুঝি ঢল,
বড়ই গাছের বড়ই
পেকে হয়েছে টল মল।।
পাড়ার দুষ্ট ছেলেরা হয়েছে বুঝি জড়
তেঁতুল গাছের তলে,
বাড়িতে যে কেউ নেই
জেনেছে ছলে বলে।।
তরা করে আয় মাঝি
আর সয়না মনে,
মা, বুঝি কষ্ট করছে
জরের ঔষুধ বিহনে।।
সারাংশঃ
এটি কবির কাল্পনিক দৃশ্য, কবি কল্পনা করছে,
একটি লোক বাড়িতে তার অসুস্থ মাকে রেখে গঞ্জে
গেছে ঔষুধ আনতে, ফেরার পথে নদীর ঘাটে এসে
দেখে মাঝি নৌকা নিয়ে নদীর ও পারে গেছে।
কোন উপায় না পেয়ে বসে বসে কবি বিভিন্ন জল্পনা
কল্পনা করছে, মায়ের কথা ভাবছে, মেঘ ডাকছে
হালের বলদ মাঠে, গাছে বড়ই পেঁকে রয়েছে, গাছ ভরা তেঁতুল, পাড়ার ছেলেরা বুঝি গাছের নীঁচে জড় হয়েছে,
বিভিন্ন ভাবনা ভাবছে।
ব্যখ্যাঃ
কবি কামাল উদ্দিনের মা বেঁচে নেই।
তার মেয়ে ক্লাশ থ্রীতে পড়েনা। কবিতায় যা উল্লেখ্য
করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ কাল্পনিক।
পাঠকঃ গঠন মুলক মন্তব্য করে লিখতে উৎসাহ দিবেন
এটাই কামনা করি।
0 Comments